রিপোর্টার্স২৪ ডেস্ক :
‘স্লিপ ডিভোর্স’ নামটি শুনে মনে হতে পারে সম্পর্কের মধ্যে কোনো সমস্যা, কিন্তু আসলে তা নয়। এই ধারণাটি এমন দম্পতিদের জন্য প্রযোজ্য; যারা ঝগড়া নয় বরং ভালো ঘুমের জন্য ইচ্ছে করে আলাদা ঘরে ঘুমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সমস্যা যেমন—জোরে নাক ডাকা, অস্থির পা সিন্ড্রোম, অনিদ্রা বা একে অপরের সঙ্গে ঘুমের সময় মিল না হওয়ার কারণেই অনেক সময় একজনের ঘুমে অন্যজনের ব্যাঘাত ঘটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা বিরক্তি, টানাপড়েন বা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন অনেক দম্পতি আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্তকে সম্পর্কের দূরত্ব নয় বরং সুস্থ ঘুম এবং মানসিক শান্তির জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সিদ্ধান্ত ‘পরিপক্কতার লক্ষণ’। তবে অবশ্যই এটা হওয়া উচিত দুজনের সম্মতিতে ও খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে। কারণ, যদি মানসিক দূরত্ব বা এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাব থাকে, তাহলে সেটা চিন্তার বিষয়।
ভালো ঘুম যেমন শরীর ও মন ভালো রাখে, তেমনই দম্পতির মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা দীর্ঘদিন অনিদ্রা, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য আলাদা ঘুমানো একটি ভালো সমাধান হতে পারে। তবে একসঙ্গে সময় কাটানোও জরুরি। যেমন: আলাদা ঘুমানোর আগে কিছু সময় একসঙ্গে গল্প করা বা আলিঙ্গন।
এগুলো ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সব শেষে বলা যায়, ভালো ঘুম মানে শুধু বিশ্রাম নয়, এটি মন-মেজাজ, শক্তি ও একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের চাবিকাঠিও বটে। তাই একে অপরের সম্মান রেখে, প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। সূত্র : খালিজ টাইমস
.
রিপোর্টার্স২৪/এস